গণভোটকে একটা বার্গেনিং টুল বানিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চলছে: জোনায়েদ সাকি

গণভোটের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন জোনায়েদ সাকি (Jonayed Saki)। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “গণভোট আগে হোক বা জাতীয় নির্বাচনের দিনে—তাৎপর্যগত পার্থক্য নেই। তবে এটাকে রাজনৈতিক চাপ বা বার্গেনিংয়ের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী সাকি বলেন, “আমি আশা করব, সরকার কোনো একটি বিশেষ দলের দিকে ঝুঁকে পড়বে না।” তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে, জাতীয় নির্বাচন পেছানো যেতেই পারে, তবে গণভোট আগে করতেই হবে।

এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় সাকি বলেন, “গণভোট আগে হওয়া আর জাতীয় নির্বাচনের দিনেই হওয়া—এই দুইয়ের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্যগত পার্থক্য নেই। আমরা যা কিছু গণভোটের মাধ্যমে অর্জন করতে চাই, সেটা দুই ক্ষেত্রেই অর্জন সম্ভব। এই ইস্যুকে ইচ্ছাকৃতভাবে জটিল করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “‘শুধু আমার রাজনৈতিক প্রস্তাবই গৃহীত হবে, যা বলি তাই হবে’—এমন দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই গণভোট নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এতে পরিস্থিতি আরও গভীর সংকটে পড়বে।” সাকি আক্ষেপ করে বলেন, “মনে হচ্ছে কেউ কেউ চায়, হয় নির্বাচন পেছাতে হবে, না হয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলতে হবে। অথবা গণভোটকে একটা বার্গেনিং টুল বানিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চলছে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, এমন বার্গেনিংয়ের পথ গ্রহণ করা হলে তা শুধু গণভোটের বিশ্বাসযোগ্যতাই প্রশ্নবিদ্ধ করবে না, বরং নির্বাচন প্রক্রিয়াকেও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *