বিএনপির সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি (BNP)-র ঘোষিত ২৩৭ প্রার্থীর তালিকায় অন্যতম চমক হিসেবে উঠে এসেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম (শ্রাবণ) (Kazi Rawnakul Islam “Shrabon”)-এর নাম। বয়সে তরুণ হলেও রাজনৈতিক সংগঠনে তার ভূমিকা ও দৃঢ় অবস্থান তাকে এই নির্বাচনে দলের সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এই তরুণ নেতার বয়স ৪০ বছর। যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামে তার জন্ম। স্থানীয় কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন বাংলা বিভাগ থেকে। এরপর তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে সান্ধ্য কোর্সে পড়াকালীন ২০২২ সালে তিনি ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন।

দীর্ঘদিন মাঠে থাকা রওনকুল ইসলাম রাজনৈতিকভাবে বিপরীত মতাবলম্বী পরিবারে জন্ম নিয়েও নিজ আদর্শে অটল থাকেন। এমনকি ১৩ বছর ধরে তিনি নিজের বাড়ি পর্যন্ত যাননি, কারণ তাঁর পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত।

২০২৩ সালের আগস্টে ‘অসুস্থতা’ দেখিয়ে ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এর মাত্র দুই মাস পরই তাকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। সেখানে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে কাজী রওনকুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়।

প্রার্থী হওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় রওনকুল ইসলাম বলেন, “এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কেশবপুর আসনটি দীর্ঘদিন ধানের শীষের ছিল না। আমি জনগণের ভোটে এই আসন পুনরুদ্ধার করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচিতে তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে কেশবপুরের তরুণদের জন্য চাকরি, ক্যারিয়ার উন্নয়ন, মাদকমুক্ত সমাজ এবং ক্রীড়া-সংস্কৃতির প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করব।”

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে থাকতেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই হল ও বিভাগে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ছাত্র রাজনীতি থেকেই তার উত্থান, যা এবার তাকে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *