নবগঠিত রাজনৈতিক দল আমজনতার দল নিবন্ধন না পাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (Rashed Khan)। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, নিবন্ধন না দেওয়ার পেছনে রয়েছে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।
স্ট্যাটাসে রাশেদ খান লেখেন, “সহযোদ্ধা তারেক রহমান ভাইয়ের রাজনৈতিক দল ‘আমজনতার দল’ কেন নিবন্ধন পেলো না? শর্ত পূরণ করতে পারেনি? শর্ত কে পূরণ করতে পেরেছে? যারা পেয়েছে তারা? না তারাও পারেনি।” তিনি ইঙ্গিত দেন, অনেক দল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিসের শর্ত মেটাতে ব্যক্তি বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অফিস দেখিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, “নতুন দলের প্রতীক পেতেও নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের উপদেষ্টারা হস্তক্ষেপ করেছেন। যে যার মত ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে সব নিয়ে নিচ্ছে। সেই জায়গায় গণঅভ্যুত্থানের সময় গ্রেফতার হওয়া, রিমান্ডে নির্যাতিত হওয়া তারেক রহমানের দল কেন নিবন্ধন পাবে না?”
রাশেদ খান আরও বলেন, “২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত আপোষহীন লড়াকু সৈনিকের নাম তারেক রহমান। আমি মনে করি, তার দলকে শর্ত শিথিল করে হলেও নিবন্ধন দেওয়া উচিত। অন্যরাও এভাবেই পেয়েছে। আমি তার আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাচ্ছি, সুযোগ পেলে সরাসরি গিয়ে সমর্থন জানাবো, ইনশাআল্লাহ।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ (Akhtar Ahmed) সই করা তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে নতুন করে তিনটি দলকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নিবন্ধন পাওয়া দল ও প্রতীক:
– জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): শাপলা কলি
– বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি: হ্যান্ডশেক
– বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল: কাঁচি
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব দলের নিবন্ধনের বিষয়ে যদি কারও কোনো আপত্তি থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় দলিলসহ ১২ নভেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিবের কাছে জানাতে বলা হয়েছে।
রাশেদ খানের স্ট্যাটাসে রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং প্রভাবের অভিযোগে একদিকে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে আমজনতার দলকে ঘিরে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনীতিতে একটি নতুন ধারার প্রতিনিধিত্ব নিয়েও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


