ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনা সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “পতিত সরকারের আমলের কিছু সুবিধাভোগী এখন নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পেইড এজেন্ট, এদের কথায় কিছু হবে না।”
প্রেসসচিব স্পষ্ট ভাষায় জানান, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সরকারের এ নিয়ে কোনো ধরনের দ্বিধা নেই।
গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর জোর
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ আখ্যা দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, সরকারের কার্যক্রমের ইতিবাচক বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “সরকার ও গণমাধ্যমের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া আরো দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক সাংবাদিকতা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যম আমাদের অন্যতম সহযোগী শক্তি।”
স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়
সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা স্থানীয় নানা সমস্যা, সম্ভাবনা এবং পেশাগত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। পাশাপাশি, সাংবাদিকতা পেশার মানোন্নয়নে নানা প্রস্তাব ও পরামর্শও দেন তারা। প্রেসসচিব এসব বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে প্রস্তুতি
প্রেসসচিব বলেন, “দেশে এখন নির্বাচনের হাওয়া বইছে। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। জনগণও নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের নির্বাচন হবে “গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।”
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী ভঙ্গিতে তিনি বলেন, “সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশ এখন অত্যন্ত অনুকূল।”
সরকারি এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নির্বাচন ঘিরে গুজব ও বিভ্রান্তির ইতি টানার চেষ্টা স্পষ্ট। একইসঙ্গে, সংবাদমাধ্যম ও রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তাও উঠে এসেছে এই মতবিনিময় সভা থেকে।


