ঝিনাইদহে জামায়াত ছাড়লেন দুই শতাধিক নেতা-কর্মী, আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নে এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক পালাবদল দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াতে ইসলামীর প্রায় দুই শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক একযোগে বিএনপি (BNP)-তে যোগ দিয়েছেন।

এরা সবাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোটচাঁদপুর–মহেশপুর আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেহেদী হাসান রনির (Mehedi Hasan Roni) হাতে হাত রেখে দলে যোগ দেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের এসব নেতা-কর্মীর এই পদক্ষেপ স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নবযোগদানকারীদের স্বাগত জানিয়ে মেহেদী হাসান রনি বলেন, “দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, আর সে কারণেই দলে দলে বিএনপিতে যোগ দিচ্ছে।”

এই অনুষ্ঠান কেবল বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এতে কোটচাঁদপুর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।

তবে ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা। তাদের দাবি, এটি একটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। তাদের ভাষায়, “যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের অনেকেই আগে থেকেই আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সকলে জামায়াতের সংগঠনিক কর্মী নন।”

যোগদানকারী এক সাবেক জামায়াত কর্মী নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, “আমরা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে জামায়াতের রাজনীতি করেছি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। এখন মেহেদী হাসান রনির নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতি করতে চাই। সময় বদলেছে, আমরাও বদলাতে চাই।”

এই যোগদানকে অনেকেই মনে করছেন ঝিনাইদহ–২ আসনে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির একটি কৌশলগত সফলতা। এতে একদিকে জামায়াতপন্থী ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা, অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক বলয়ে ঐক্য গড়ে তোলার ইঙ্গিতও রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *