ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেন (Faruk Hossain)–কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম (Shamsul Azam)।
তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের ওই এলাকা থেকে ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
সূত্র জানায়, ফারুক হোসেন পূর্বে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক (Shamim Haque) যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। এরপর সম্প্রতি ফারুক হোসেন নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান যে, তাকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে গত ২৮ অক্টোবর শামীম হক তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, “আমার নেত্রী যাকে দায়িত্ব দেবেন, আমরা সবাই তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। দলের এই দুর্দিনে আমরা সবাই সভাপতি, আমরা সবাই দলের জন্য কাজ করবো।”
কোতয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা রয়েছে—একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং অন্যটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি পুলিশ নিজেই দায়ের করে।
অন্য মামলাটি গত বছরের ১৫ অক্টোবর দায়ের করেন শহরতলির মামুদপুর এলাকার বাসিন্দা মুজাহিদ ইসলাম। ওই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকেও আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস (Abdullah Biswas) বলেন, “সন্ধ্যায় ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তার নামে থানায় দুটি মামলা রয়েছে এবং উভয় মামলাতেই গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান।”


