আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর জন্য আসন বণ্টন চূড়ান্ত করতে শিগগিরই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক করবেন। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে, যা অনুষ্ঠিত হয় গত সোমবার রাতে।
বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলটি শরিক দলগুলোর জন্য আসন ছাড়ের বিষয়ে এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ করছে। এতে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বিগত আন্দোলনে শরিকদের সক্রিয়তা, তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি এবং ভবিষ্যতের সরকার গঠনে ভূমিকা রাখার সক্ষমতা।
সূত্র মতে, শরিকদের জন্য অন্তত ২৫টি আসন ছাড়ের চিন্তা থাকলেও এই তালিকায় আপাতত নেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party – এনসিপি) এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (Bangladesh Khelafat Majlish)। জাতীয় নাগরিক পার্টি’র সাথে কোনো সমঝোতা হলে তাদের আসন আলাদা ভাবে বিবেচনা করা হবে।
বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে শরিকদের জন্য ২৩টি আসন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ-এর শরিকদের জন্য বরাদ্দ হতে পারে পাঁচটি আসন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (Jamiat Ulema-e-Islam)-এর জন্য পাঁচটি, ১২–দলীয় জোট-এর জন্য তিনটি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) এর জন্য দুটি, গণ অধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad) এবং এলডিপি-র জন্য দুটি করে আসন প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং গণফোরাম-এর জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
যদিও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আসন ভাগাভাগির এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে চায় বিএনপি নেতৃত্ব, যাতে শরিকরা নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করতে পারে সময়মতো। আর এই লক্ষ্যে তারেক রহমানের আসন্ন ভার্চ্যুয়াল বৈঠককে ধরা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে।


