জাতীয় নির্বাচনে জটিলতা মানেই পলাতক স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের পথ সুগম করা: তারেক রহমান

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কৃত্রিম জটিলতা তৈরির অর্থ একদিকে রাষ্ট্রযন্ত্রে অনির্বাচিত খবরদারির সুযোগ তৈরি, অন্যদিকে পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচারীদের পুনর্বাসনের পথ সুগম করে দেওয়া—এমনটাই মনে করেন তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বুধবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “যখন জনগণের সরাসরি ভোটে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল দুর্বল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুযোগ নিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।”

তারেক রহমান আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বর্তমান দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধামকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জনগণের মুখোমুখি হোন। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বাইরেও একটি বিশাল নির্দলীয় জনগোষ্ঠী রয়েছে, যারা অরাজনৈতিক হলেও ভোটাধিকার চর্চা করতে চায়।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল নানা শর্ত দিয়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। এতে করে একদিকে নির্বাচন না করেই রাষ্ট্রযন্ত্রে খবরদারির সুযোগ তৈরি হচ্ছে, অপরদিকে পতিত, পরাজিত, পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে।”

সম্প্রতি রাজধানীতে আগুন-সন্ত্রাসের ঘটনা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “পলাতক স্বৈরাচারীর সহযোগীরা গত কয়েকদিনে রাজধানীতে যেভাবে আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে, তা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির করণীয় সম্পর্কে একটি সতর্ক বার্তা হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “এখন স্পষ্ট যে, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের একটি দল ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুরতা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ফ্যাসিবাদীদের ছাতার নিচে আশ্রয় নিয়েছিল। আর এখন পতিত ও পলাতক স্বৈরাচার আবার সেই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা দলটির ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে কিনা—এ বিষয়ে ভাববার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।”

আলোচনা সভায় ৭ নভেম্বর দিবস উপলক্ষে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় এবং পরে একটি সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *