বিএনপি (BNP) ক্ষমতায় গেলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে বলে জানালেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ (Salahuddin Ahmed)। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে অংশ নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সম্মেলনে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। ধর্মীয় আবেগ ও রাজনৈতিক বার্তা মিলিয়ে সম্মেলনজুড়ে ছিল এক ধরনের তীব্র ধর্মীয় আবেদন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বিএনপি বিশ্বাস করে, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী।” তিনি আরও বলেন, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভাজন ও মতবিরোধের কারণেই ফিলিস্তিন ও মিয়ানমারের মুসলমানরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই বিভক্তির সুযোগ নিয়েই মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র সহজতর হচ্ছে বলেও তার মন্তব্য।
তিনি বলেন, যদি দেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার দায়িত্ব দেন এবং সবাই সহযোগিতা করেন, তাহলে খতমে নবুওয়ত কমিটির দাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিএনপি। সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, “যারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নবী হিসেবে স্বীকার করে না, তাদেরকে বিএনপি মুসলিম মনে করে না।”
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী (Muhiuddin Rabbani)। তিনি বলেন, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং খতমে নবুওয়তের পবিত্র আকিদা রক্ষার দাবিকে সামনে রেখেই এই আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় আলেমরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনে উপস্থিত বিদেশি ইসলামি চিন্তাবিদদের মধ্যে ছিলেন—জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান-এর সভাপতি মুফতি ফজলুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ (ভারত)-এর সভাপতি মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান-এর মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্টের ওয়ার্ল্ড নায়েবে আমির শায়খ আব্দুর রউফ মক্কি, ইউসুফ বিন্নুরী টাউন মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম ড. আহমাদ ইউসুফ বিন্নুরী, পাকিস্তানের মাওলানা ইলিয়াছ গুম্মান, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী এবং মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শায়খ মুসআব নাবীল ইবরাহিম।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির, মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ। আয়োজক ছিল সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ এবং তত্ত্বাবধানে ছিল খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ।


