গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুমোদন করল জাতিসংঘ

গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council)। এ বাহিনীর কাঠামো নির্ধারিত হয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। যুদ্ধবিরতির আওতায় গাজায় একটি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় এ পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তবে এই প্রস্তাবে ইতোমধ্যে বিরোধিতা জানিয়েছে হামাস (Hamas)। সোমবার (১৭ নভেম্বর) আল জাজিরা (Al Jazeera)-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটি স্পষ্ট করে বলেছে, গাজায় তারা কোনো বিদেশি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বরদাশত করবে না। হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, “এটি হবে ইসরায়েলি দখলের বদলে আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব আরোপ করার চেষ্টা, যা আমরা প্রত্যাখ্যান করি।”

এদিকে, সোমবার গাজার দারাজ এলাকায় একটি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিলেন বহু বেসামরিক মানুষ। সেখানে চালানো ইসরায়েল (Israel)-এর ড্রোন হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন ফিলিস্তিনি। আহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে, যা আরও একবার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শিশুদের ঝুঁকির বিষয়টি সামনে এনেছে।

গাজা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীতের প্রভাব ক্রমেই বেড়ে চলায় অন্তত ৩ লাখ তাঁবুর প্রয়োজন রয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষেরা যাতে কোনোভাবে শীত নিবারণ করে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিতে পারে, সে লক্ষ্যে এই সহায়তা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।

গাজায় চলমান যুদ্ধ ও সংঘর্ষে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৯ হাজার ৪৮৩ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬ জন। এই বিপুল হতাহতের তালিকায় নারী ও শিশুর সংখ্যাও উদ্বেগজনকভাবে বেশি বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো আক্রমণে প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নাগরিক। একই সঙ্গে প্রায় ২০০ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়াতেই ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *