নরসিংদীতে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পে প্রাণহানি আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। হঠাৎ কেঁপে ওঠা মাটির কম্পনে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পুরো জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভয় ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল এবং তার ৮ বছর বয়সী ছেলে হাফেজ মো. ওমর। পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী কাজেম আলী ভূইয়া, ডাংগা ইউনিয়নের কাজীরচর নয়াপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের আজকিতলা গ্রামের ফোরকানও ভূমিকম্পের তীব্রতায় প্রাণ হারান।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর (Bangladesh Meteorological Department) জানায়, কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এই মাত্রার ভূমিকম্পে নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভূত হলেও নরসিংদী জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলায় বসতবাড়ি, মার্কেট, বহুতল ভবন ও সরকারি স্থাপনাসহ বিভিন্ন কাঠামোয় ফাটল দেখা গেছে। এমনকি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউজের ভবনেও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এদিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের (Ghhorashal Power Plant) সাবস্টেশনে ভূমিকম্পের পর অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং আশপাশের এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দেয়। একই এলাকায় একটি ডেইরি ফার্মের মাঠে ভূকম্পনের ধাক্কায় মাটি ফেটে আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনাও নজরে আসে।
নরসিংদী (নরসিংদী) জেলাজুড়ে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। উদ্ধারকাজ, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন এবং ভবনগুলোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে প্রশাসন সারাদিন মাঠে কাজ করছে।


