ইসির সভার পর আজ জানা যেতে পারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন (CEM Nasir Uddin)-এর নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই উপলক্ষে কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে—যেখান থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।

কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার মতে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সম্ভাব্য দিন হিসেবে আলোচনায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য—তফসিল ঘোষণার পর অন্তত দুই মাস সময় রেখে ভোটগ্রহণ আয়োজন করা। সেই হিসেবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। ৫, ৭, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য তারিখ হলেও ৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে ১৯৭৯, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনও রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় গ্রামীণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি হয়—এই হিসেবেই রোববার দিনটিকে সুবিধাজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালের (১২ জুন) নির্বাচন হয়েছিল বুধবার

এদিকে, নির্বাচন কমিশনে রোববার গণভোট অধ্যাদেশের খসড়া এসে পৌঁছেছে। খসড়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং দুই-এক দিনের মধ্যেই এটি জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অধ্যাদেশ জারি হলে গণভোটের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করবে ইসি।

গণভোটের বিষয়টি চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। এর মাধ্যমে ভোটারদের মতামত জানার নতুন একটি ধারা যুক্ত হতে যাচ্ছে নির্বাচনি ব্যবস্থায়।

কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, “নির্বাচনের সময় ও প্রস্তুতি—দুটোই অত্যন্ত সংবেদনশীল। সময়ক্ষেপণ না করে যথাসময়ে ঘোষণা ও প্রস্তুতি নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *