গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর (Nurul Haque Nur) বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) তাকে আসন ও টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোষ করিনি, করব না। ২-৪টি আসনের জন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট নয়। যদি দেশের প্রয়োজন হয়, তবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্মানজনক আসন নিয়ে জোট হবে।” এ সময় তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম (Nazrul Islam)–কে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
নুরুল হক নূর বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল—যখনই হোক না কেন, গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনেই এককভাবে প্রার্থী দেবে। তবে দেশের প্রয়োজনে যদি কোনো জোট গঠন হয়, তাহলে যেসব আসনে গণসমর্থন রয়েছে, সেগুলো নিশ্চিত করেই জোট গঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, “আজকে দেখা যাচ্ছে, কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতো হুমকি-ধামকি দিয়ে দেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন। আমরা তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে গেছে। জনগণের রোষে অনেকেই সীমান্ত, হেলিকপ্টার বা জলপথ দিয়ে পালিয়ে গেছেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কারো পক্ষেই নিরাপদ নয়।”
তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন হিসেবে সংযত ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু, নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ূম।


