রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)-র শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে অবস্থার অবনতি না হওয়াকেই আপাতত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকেরা। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারছেন না তাঁরা।
মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা-কে বলেন, “ম্যাডামের কিছুটা উন্নতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তাঁর বয়স এখন বড় একটি চ্যালেঞ্জ, কারণ এ বয়সে একসঙ্গে সব চিকিৎসা করাটা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন করে অবস্থার অবনতি হচ্ছে না—এটাই আমাদের কাছে ইতিবাচক বিষয়। আপাতত দেশের বাইরে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই।”
৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদ্যন্ত্র এবং চোখের সমস্যায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৭ নভেম্বর তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-তে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক দাবি করেন, “এভারকেয়ারে তাঁকে পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে, কাতারের সহায়তায় তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত ছিল। তবে শারীরিক অবস্থা বিদেশযাত্রার জন্য যথোপযুক্ত না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার (Shahabuddin Talukder)-এর নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি দুই ডজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করছে এবং তাঁর শারীরিক উন্নতির লক্ষ্যে চিকিৎসা পরিচালনা করছে।
চিকিৎসার এই সময়ে খালেদা জিয়ার পাশে সার্বক্ষণিক আছেন পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা এবং স্টাফ রূপা আক্তার। নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। মাঝে মাঝে খালেদা জিয়া নিজেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন।


