তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam) শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন, যদিও সরকার ও রাজনৈতিক মহলের একাধিক সূত্র জানায়—এ সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের ইচ্ছায় ছিল না। বরং সরকারের চাপ ও পরিস্থিতির চাপে পড়েই তাঁকে এই পথ বেছে নিতে হয়।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচিত এই ছাত্রনেতা, যিনি আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন, নির্বাচন ছাড়াই সরকারে থাকতে চেয়েছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে। এই অবস্থান থেকে তাঁকে সরিয়ে আনা হয় মূলত সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে—এই বিবেচনায়।
সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, নির্বাচনী সময়ের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতেই তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে নিরপেক্ষতা ও আস্থার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।
সূত্রের আরও দাবি, মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত মাহফুজ আলম তাঁর পদে থাকার ব্যাপারে অনড় ছিলেন। তিনি সরকারের পরবর্তী দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত উপদেষ্টার পদে বহাল থাকতে চেয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক মহল এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পক্ষ থেকে ক্রমাগত পরামর্শ এবং ভবিষ্যতে সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়ার আশঙ্কায় বুধবার সকালে তিনি পদত্যাগে রাজি হন।
এই পদত্যাগ বর্তমান সরকারের নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতার বার্তা দিতে চায় কি না—এ প্রশ্ন এখন আলোচনায়। তবে মাহফুজ আলমের হঠাৎ এমন অবস্থান পরিবর্তন এবং সরকারের চাপের কথাই এখন ঘুরছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।


