রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় দুই হাজার টাকা চুরির জেরে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক মা–মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী রাব্বীকে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটিকে ‘চুরির টাকা ধরা পড়ার প্রতিশোধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে ডিএমপি (DMP)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম (S. N. Md. Nazrul Islam) প্রেস ব্রিফিংয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন।
ডিএমপি জানিয়েছে, গৃহকর্মী আয়েশা গৃহকর্ত্রী লায়লা ফিরোজ (Laila Firoz)-এর ২ হাজার টাকা চুরি করে। বিষয়টি ধরা পড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। এর পরদিন ক্ষোভে ও পরিকল্পিতভাবে বাসা থেকে ছুরি এনে লায়লাকে হত্যা করে আয়েশা।
খুনের সময় লায়লার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ ঘুমে ছিল। মায়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তির শব্দে ঘুম ভাঙলে সে ইন্টারকমে দারোয়ানকে জানাতে যায়। কিন্তু সেখানেই আয়েশা তাকে ধরেই হত্যা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের পর আয়েশাকে ঢাকার বাইরে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে তার স্বামী রাব্বী। এ কারণে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের ওই বাসা থেকে ৪৮ বছর বয়সী লায়লা ফিরোজ এবং ১৫ বছর বয়সী নাফিসার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই রাতে এই দুজনকে হত্যার অভিযোগে একমাত্র আসামি হিসেবে আয়েশার নামে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নিহত লায়লার স্বামী, স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম (A. J. M. Azizul Islam)।
বার্তা বাজার/এস এইচ


