বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার (Begum Khaleda Zia) আশীর্বাদ নেওয়ার এক অদম্য ইচ্ছা ছিল ওসমান হাদির (Osman Hadi)। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন একদিন তিনি বেগম জিয়ার সামনে দাঁড়াবেন, আর নেত্রী মমতায় তার মাথায় হাত রাখবেন।
কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের আগেই গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাদি। আশ্চর্যজনকভাবে, এখন সেই স্বপ্নের মানুষ এবং তিনিও চিকিৎসাধীন একই হাসপাতালে—রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল (Evercare Hospital)।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজয়নগর এলাকায় রিকশাযোগে যাওয়ার সময় হাদিকে গুলি করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে তার গুরুতর অবস্থার কারণে স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে।
অন্যদিকে, ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ একাধিক জটিল রোগে ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তার অবস্থার অবনতি ঘটেছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।
বেগম জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার (Dr. Shahabuddin Talukder) বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জানান, তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং অবস্থা এখনও জটিল। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে নিয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন ওসমান হাদি। তিনি লেখেন,
“কোনোদিন কোনো রাজনৈতিক নেতার সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা হয় নাই। ছোটবেলা থেকে একটাই ইচ্ছা ছিলো—বেগম জিয়া পরম মমতায় আমার মাথায় হাত রেখে একটু দোয়া করে দিবেন কোনোদিন। ওনাকে রহম করো খোদা।”
দুই ভিন্ন প্রজন্মের এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে, একটি হাসপাতালে, কিন্তু একে অপরের কাছে পৌঁছানোর আগেই সময় যেন তাদের দূরে সরিয়ে দিয়েছে।


