ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হা’\দি’র ওপর গু’\লি’\বর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির ময়দান। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (Rashed Khan) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারে তফসিল-পরবর্তী আনন্দ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। হা’\দি’র ওপর গু’\লি’\কা’\ণ্ডের পর সমাবেশে ক্ষোভ উগরে দেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হা’\দি’ বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বলেই তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এই হামলা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।” রাশেদের ভাষ্য, এই নির্বাচন তখনই সুষ্ঠু হবে যখন সব প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
রাশেদ আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ এবং ভারতের একটি চক্রান্ত রয়েছে—এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য। সেই পরিকল্পনায় ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট করে কিলিংয়ের ছক কাটা হয়েছে। এ ধরনের হামলা তারই ইঙ্গিত বহন করে।”
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “আজকে ওসমান হা’\দি’র ওপর যেভাবে গু’\লি’ চালানো হয়েছে, ঠিক তেমনি আমাকেও যে কোনো সময় গু’\লি করা হতে পারে। যারা নির্বাচন করতে চায়, তারা কেউই নিরাপদ নয়। এটা ভয়ভীতি প্রদর্শনের একটা খেলা।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে রাশেদ বলেন, “এই ১৬ মাসে কেন একটি নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে পারলেন না আপনারা? আজকে আমার ভাই রক্তাক্ত। সে বাঁচবে কি না জানি না। আগামীকাল তো আমি নিজেও নি’\হত হতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলছি—এই গু’\লি’\কা’\ণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে না পারেন, তবে আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে।”
রাশেদ খান এই ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন, “এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমাদের ভয় দেখানোর জন্য হা’\দি’কে গু’\লি করা হয়েছে। যেন আমরা সভা-সমাবেশ না করতে পারি, মানুষকে সঙ্গে না পাই। কিন্তু আমরা দমে যাব না।”
তিনি বলেন, “এ নির্বাচন তখনই সুষ্ঠু হবে, যখন সরকার সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে। হা’\দি’র ওপর হামলার বিচার দ্রুত করতে হবে, না হলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে।”


