রাজশাহীর জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি (National Citizen Party-NCP) এর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু (Nahidul Islam Saju) শুক্রবার সকালে পবার কাটাখালি পৌরসভার দেওয়ানপাড়ায় হামলার শিকার হন। স্থানীয়ভাবে তিনি চিকিৎসা নেন। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কাটাখালি থানার ওসি সুমন কাদেরী।
সাজু রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন ফরম তিনি ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছেন, যদিও এ আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ এখনো ঘোষণা পাননি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে শ্যামপুর এলাকার কয়েকজন যুবক কাটাখালি বাজারে ব্যবসায়ী শিমুলকে মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে। এতে তিনিও আহত হন এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা পুরো কাটাখালি বাজারের দোকান বন্ধ করে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
ওসি সুমন কাদেরী জানান, বিক্ষোভকারীরা শ্যামপুরের এক ব্যক্তির চায়ের দোকানের টেবিল-চেয়ার এনে আগুনে ছুড়ে দেয়। এরপর এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে—শ্যামপুর এলাকায় নাকি ব্যবসায়ীদের দোকানে লুটপাট চলছে। এই সংবাদে স্থানীয়রা দেওয়ানপাড়ায় জড়ো হয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। খবর পেয়ে এনসিপি নেতা সাজু ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তিনি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁর ওপর হামলায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যায়।
ঘটনার বর্ণনায় সাজু বলেন, তাঁর বাবা কাটাখালি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। “কিন্তু অস্ত্রধারীরা আমাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পুলিশ আমাকে উদ্ধার করার সময় তারা দুই রাউন্ড গু’\লি ছোড়ে,” বলেন তিনি।
তার অভিযোগ, “আমি রাজশাহী-৩ আসনে এনসিপির প্রার্থী হতে চাই। যারা হামলা করেছে তারা বিএনপি (BNP) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে চাওয়ায় আমার ওপর এই আক্রমণ।” তিনি আরও দাবি করেন, এর আগেও ৮ ডিসেম্বর একই এলাকায় একটি মাইক্রোবাস দিয়ে তাকে চাপা দিয়ে হ’\ত্যা’\র চেষ্টা করা হয়েছিল। সে ঘটনায় মামলা করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আজকের ঘটনার পরও তিনি মামলা করবেন বলে জানান।
ওসি সুমন কাদেরী বলেন, গু’\লি চলেছে কি না—তা তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বার্তাবাজার/এমএইচ


