ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গু’\লি হামলার ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদকে গ্রেপ্তার করতে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (Dhaka Metropolitan Police)। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত বারবার নিজের অবস্থান ও ব্যবহৃত সিমকার্ড পরিবর্তন করায় তাকে ট্র্যাক করে আটক করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ডিএমপির মতিঝিল জোনের এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনার তদন্তে এখন পর্যন্ত ‘বিশেষ অগ্রগতি’ হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি বলেও তিনি নিশ্চিত করেন। বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খোঁজখবর নেওয়া হলেও এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তের বাসাসহ অন্তত পাঁচটি সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্ত করা হলেও কোনো স্থানেই তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, অভিযুক্ত একাধিক মোবাইল ফোন ও নম্বর ব্যবহার করছিলেন এবং খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বারবার নম্বর পরিবর্তন করেছেন। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হলেও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কোনো অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। আজও নতুন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ঘটনায় একাধিক সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। র্যাব (RAB), ডিবি (DB)সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময় হচ্ছে, যাতে অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে। তবে হাদি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এবং পরিবার সেখানেই অবস্থান করায় মামলার প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার (DMP Commissioner) শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গু’\লি’\বি’\দ্ধ হাদির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলায় মোটরসাইকেল চালক এবং তার পেছনে বসে যিনি গু’\লি চালিয়েছেন—দুজনকেই আসামি করা হবে।
এর আগে শনিবার সকালে ডিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি এবং আপনারা এই সময়ের মধ্যে নামও জেনে গেছেন। আমরা মিডিয়াতেও তা প্রকাশ করেছি। প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি। এখনো ২৪ ঘণ্টা পার হয়নি, হোপফুলি আমরা এটি হিট করতে পারব ইনশাল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় আসলে কতজন জড়িত, সে বিষয়ে ইনডিটেইল তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। দিস ইজ আন্ডার ইনভেস্টিগেশন, এর বেশি বলা সম্ভব না। অন্যান্য যেসব প্রার্থী নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করছেন, তাদের নিরাপত্তার বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’


