রিজভীর বক্তব্যকে বোগাস আখ্যা দিলেন ডিএমপি কমিশনার

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হা’\মলা চালানো ব্যক্তিরা শিবিরের সদস্য—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিকে সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার (DMP Commissioner) শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজেই স্পষ্ট ভাষায় জানান, এই বক্তব্যের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তাকে উদ্দেশ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি তিনি শুনেছেন। তবে তার ভাষায়, “এটি বোগাস কথাবার্তা। পুরোপুরি ভুয়া। আমি এমন কোনো বক্তব্য দিইনি।” তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে একটি রিজন্ডার জারি করা হয়েছে।

শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ছবির ভিত্তিতেই ডিএমপি কমিশনারের নামে মিথ্যা ও বোগাস তথ্য প্রচার করা হয়েছে। তিনি বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও ইঙ্গিত দেন।

এর আগে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হা’\মলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী (Ruhul Kabir Rizvi)। সেখানে তিনি বলেন, পুলিশ কমিশনার নাকি জানিয়েছেন যে হ’\ত্যা’\কারী শনাক্ত হয়েছে এবং সে শিবিরের সদস্য।

রিজভী ওই বক্তব্যে বলেন, “আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এটি বিএনপির কোনো নেতার বক্তব্য নয়। যারা এসব কথা বলছে, তারা রাষ্ট্রের আইনের স্বীকৃত তদন্তকারী কর্মকর্তা।” তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে কী লেখা হবে—সে বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট ছাত্রনেতাকে প্রশ্ন করতে চান।

বক্তব্যে রিজভী অভিযোগ করেন, এখনো কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি, কার্যকর কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, এই এলাকায় মেয়র বারবার আসেন, তার সামাজিক ও জাতীয় রাজনৈতিক অবস্থান উপেক্ষা করে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এমন আচরণ করেছেন। রিজভীর ভাষায়, “আপনার চেয়ে ৩৬ বছর আগে আমরা ছাত্রনেতা ছিলাম। অন্য একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হয়েও কখনো ভিন্ন দলের সিনিয়র নেতাকে এভাবে অপমান করিনি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হা’\মলা’\কারী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মির্জা আব্বাসের নাম উল্লেখ করেছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে।

রিজভী বলেন, “ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুকে একটি পক্ষ মির্জা আব্বাসকে ‘গ্যাংস্টার’ আখ্যা দিয়ে আক্রমণ করেছে। অথচ একই সময়ে ‘ঠাকুর ঘরে কেড়ে, আমি কলা খাইনি’—এমন বক্তব্য দেওয়া পক্ষের ওপর কোনো আঘাত আসেনি।”

বক্তব্যের শেষভাগে তিনি অভিযোগ করেন, হাদির ওপর হা’\মলা’\কারী এর আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তাকে সাদিক কায়েমের সঙ্গে একই টেবিলে বসে চা খেতে দেখা গেছে বলেও তিনি দাবি করেন। রিজভী বলেন, “যারা ১৯৭১ সালে গণ’\হত্যা এবং মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, তাদের কাছে বিবেকবোধের কোনো অস্তিত্ব নেই।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *