নির্বাচনী আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নিষেধ করে, কোনো প্রার্থী ভোটারদের প্রভাবিত করতে অর্থ বা উপহার কিংবা কোনো প্রলোভন দেখাতে পারবে না। তবে সেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেলের বিরুদ্ধে। মুরাদনগরের নির্বাচনী এলাকায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন—নির্বাচিত হলে ভোটারদের ওমরাহ করাতে নিয়ে যাবেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ইউসুফ হাকিম সোহেল এক ভোটারকে সরাসরি বলছেন, “আমি যদি এমপি নির্বাচিত হই! আপনাকে নিয়ে উমরাহ করতে যাব।” ভিডিওটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে স্থানীয় মহলে।
স্থানীয়রা বিষয়টিকে কেবল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলেই দেখছেন না, তারা এটিকে জনতার সঙ্গে ‘প্রতারণা’ হিসেবেও ব্যাখ্যা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছেন—এতদিন রাজনীতিকরা জান্নাতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন, এখন সেই প্রতিশ্রুতি বদলে হয়েছে ওমরাহ।
নবীয়াবাদ আব্দুল ওয়াদুদ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম বলেন, “কাউকে ওমরাহ তে নিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। তবে সেটি যদি শর্ত সাপেক্ষ হয়, অর্থাৎ নির্বাচনে জিতলে নিয়ে যাবেন—তাহলে তা প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। ভোটের বিনিময়ে ধর্মীয় প্রলোভন দেখানো নিছকই জনগণের সঙ্গে উপহাস।”
মুরাদনগরের সচেতন মহল বলছে, এমন কর্মকাণ্ড শুধু আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়, বরং সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচরে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


