কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের জানিয়েছেন, হাদির ওপর হামলাকারীরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি জানান, বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমন তথ্য জানান সায়ের।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করার ঘটনার সাথে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরবাইক চালক আলমগীর হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় (১২ ডিসেম্বর) সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।’
সায়ের আরও লেখেন, ‘ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।’
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে তিনি জানান, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরো কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা চেষ্টা রয়েছে।’
‘এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছে ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় সে কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হয়, তার পরিকল্পনা ছিলো চারটি গুলি করার।’
ফেসবুক পোস্টে সায়ের আরও লেখেন, ‘সূত্র দাবি করেছে, ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে ২০২৫ রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকা হতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ২৯ জুলাই ২০২৫ সাজ্জাদ সুপ্রীম কোর্ট হতে জামিন প্রাপ্ত হয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।’
এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যেসকল অস্ত্রধারী ক্যাডারদের বিভিন্ন মামলায় জামিন প্রদান করা হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাদের প্রত্যেকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি বলে জানান জুলকারনাইন সায়ের।


