ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একইসঙ্গে আয়োজিত গণভোটে অংশ নিতে ভোটারদের জন্য নির্ধারিত হচ্ছে একটি ভিন্ন রঙের ব্যালট পেপার—গোলাপী। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত এবং সরবরাহকৃত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সেই পড়বে এই গোলাপী ব্যালট। জাতীয় সংসদের ভোট ও গণভোট—দুটির ব্যালটই জমা হবে একই ব্যালট বাক্সে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংসদীয় নির্বাচনের সাধারণ ব্যালট পেপারের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত গণভোট ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। এই ব্যালটে ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বেছে সিল মারবেন এবং ভাঁজ করে নির্ধারিত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ফেলবেন।
গণভোটের প্রশ্নটি থাকবে ব্যালট পেপারে, এবং ভোটারকে শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ অপশনে নিজের মতামত জানাতে হবে। দুই ব্যালট একসঙ্গে জমা দেওয়ার কারণে ব্যালট গণনা ও পৃথকীকরণে বাড়তি সতর্কতা ও প্রস্তুতির কথা ভাবছে কমিশন।
পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রেও থাকবে গণভোটের জন্য পৃথক ব্যবস্থা। ফরম-২ নামক নির্ধারিত ব্যালটে ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এর পাশে থাকা ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে তাঁদের মতামত প্রদান করবেন।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই দিনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ভোটাররা—একটি সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন, অন্যটি গণভোটের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মত প্রকাশ।
কমিশনের মতে, ভোটগ্রহণ ও ব্যালট পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই এই নিয়মাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে। গোলাপী ব্যালটের আলাদা রঙ ও একই বাক্সে ফেলার পদ্ধতি নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে কারিগরি সমন্বয়ের একটি অংশ হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল।


