সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার সঙ্গে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমানেরও। এরইমধ্যে বাসভবন ও অফিসের সংস্কার কাজ প্রায় শেষ।
তারেক রহমানের জন্য প্রস্তুত হওয়া বাসভবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দেয়ালের শুভ্র রং, কাঁটাতারের বেড়া আর নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বাড়ির চারপাশে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ বক্স বসানো অনেকটা শেষ। ছোট গেট বদলে লাগানো হয়েছে বড় করেই। ভেতরে চলছে বাকি সংস্কারের কাজ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়ি প্রায় প্রস্তুত, কোনো কারণে পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে পাশেই মায়ের ভাড়া বাসা ফিরোজায় উঠবেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অফিস করবেন। ৮৬ নম্বরের রোডের কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোসহ এখানকার সংস্কার কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
সূত্রে জানা যায়, লন্ডন সময় ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশে বিমানের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় ২৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার মাটিতে পা রাখতে পারেন ১৭ বছর নির্বাসিত থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমানের ঢাকায় ফেরা উপলক্ষে কোটি মানুষের উপস্থিতির সম্ভবনা দেখছেন আতিকুর রহমান রুমন। তিনি জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এরইমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও বাবার সঙ্গে দেশে আসতে পারেন।
এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তার (তারেক রহমান) নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তার নিরাপত্তার ব্যাপারে যত ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার আমরা তা নেব এবং তার নিরাপত্তা দেব।’
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎিসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে ফেরা হয়নি বিএনপির এই শীর্ষ নেতার।


