শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানাতে একটি প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিলেন এনসিপির এক স্থানীয় নেতা। নির্ধারিত সময় গড়িয়ে গেলেও সভাস্থলে কেউ না আসায় অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো আর সভা হবে না। কিন্তু হতাশ না হয়ে একাই প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য রেখে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রতিবাদ সভার আহ্বান করেন এনসিপির শেরপুর-২ (নকলা–নালিতাবাড়ী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আ.র.ম. বাকীবিল্লাহ। তিনি এর আগে এনসিপির নালিতাবাড়ী উপজেলা শাখার স্থগিত কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় এই নেতা জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকেই তিনি হামলার প্রতিবাদে সভা আয়োজনের উদ্যোগ নেন।
সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় নালিতাবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর বাজারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভাকে কেন্দ্র করে আগেই মাইকিং করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সভাস্থলে কোনো উপস্থিতি না থাকায় আশপাশের লোকজনের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়, এখানে আর কোনো সভা অনুষ্ঠিত হবে না।
তবে এই পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়েননি আ.র.ম. বাকীবিল্লাহ। জনশূন্য মাঠেই তিনি বক্তব্য শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিবাদ না হলে একের পর এক এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে, যা সমাজ ও রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত।
প্রতিবাদ সভায় কেউ না আসার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আ.র.ম. বাকীবিল্লাহ বলেন, “আমি আমার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ সভার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু কেউ আসেনি। আজ যদি এর প্রতিবাদ না করা হয়, তাহলে আপনার ওপর, এরপর আমার ওপর, পরে আরেকজনের ওপর এভাবে হামলা চলতেই থাকবে। তাই প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ বা সংগঠন যাই হোক না কেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সবার দায়িত্ব। একা হলেও তিনি সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন বলে জানান।


