‘আমাকে শো-রুমে নিন, সব পরিষ্কার হবে’—আদালতে হা’\ন্না’\নের আকুতি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রে’\প্তা’\র হওয়া মো. আব্দুল হা’\ন্না’\ন আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করেছেন, তিনি শরিফ ওসমান বিন হাদির হ’\ত্যা’\চেষ্টায় ব্যবহৃত হোন্ডা মোটরসাইকেলটি আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। তার কথায়, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে সেই বিক্রয়কেন্দ্রে (শো-রুমে) নিয়ে যেত, তাহলে পুরো ঘটনা স্পষ্ট হয়ে যেত।

রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় হা’\ন্না’\নকে। তাকে রা’\ত’\ে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রে’\প্তা’\র করে র‍্যাব। আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে গ্রে’\প্তা’\র দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এদিন, পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামিম হাসান হা’\ন্না’\নের সাত দিনের রি’\মান্ড আবেদন করেন। ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।

প্রসিকিউটর বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির হ’\ত্যা’\চেষ্টায় যে হোন্ডা বাইকটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেটি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে। বাইকটির নামপ্লেট দেখে মালিক শনাক্ত করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, বাইকটির মালিক মো. আব্দুল হা’\ন্না’\ন। এখন যারা গু’\লি করেছে, তাদের সঙ্গে বাইক মালিকের কোনো যোগাযোগ আছে কি না—তা বের করাই তদন্তের মূল লক্ষ্য। এজন্য রি’\মান্ড প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, “সারা জাতি উদ্বিগ্ন। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এমপি প্রার্থীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এই হ’\ত্যা’\চেষ্টা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর পেছনের পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করতেই হবে—দেশের স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে।”

এই অবস্থায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আব্দুল হা’\ন্না’\ন বলেন, “গ্রে’\প্তা’\রের পর র‍্যাবকে বলেছিলাম, আমাকে শো-রুমে নিয়ে যান, সত্যি বেরিয়ে আসবে। কিন্তু তারা নেয়নি। পরে থানায় পুলিশকেও বলেছিলাম, নিয়ে যান, তদন্ত করুন। তখনো কেউ নেননি।”

তিনি বলেন, “আমি বাইকটি মিরপুর মাজার রোড থেকে কিনেছিলাম। কিন্তু হাতের সমস্যার কারণে পরিবার বাইক চালাতে নিষেধ করেছিল। বাইকটি পড়ে থাকায় পরে একটি শো-রুমে বিক্রি করি। বলেছিলাম, নাম পরিবর্তন করে দেব। দুই মাস আগে তারা কল করেছিল। কিন্তু আমি অসুস্থ থাকায় যেতে পারিনি।”

আদালতে হা’\ন্না’\নের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রি’\মান্ড মঞ্জুর করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *