ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হ’\ত্যা করার উদ্দেশ্যে গু’\লি চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যু’\টার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরবাইক চালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে ভারতের আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন—এমন দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
এই ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে তথ্য প্রকাশ করে আসা জুলকারনাইন সায়ের এবার ফয়সাল করিম মাসুদকে ঘিরে নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ফয়সালের ব্যবহৃত একটি ভারতীয় ফোন নম্বরের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা তার ভারতে অবস্থানের প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সায়েরের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার পর ফয়সাল করিম মাসুদ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে ভারতে পালাতে সহায়তা করেন সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। অভিযোগ রয়েছে, বিপ্লবই ফয়সাল করিম মাসুদকে একটি ভারতীয় সিম কার্ড কিনে দেন।
সায়ের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে হ’\ত্যা করার উদ্দেশ্যে গু’\লি চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যু’\টার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরবাইক চালক আলমগীর হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় (১২ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার পর জাহাঙ্গীর কবির নানকের পিএস মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব ফয়সাল করিম মাসুদকে এই ভারতীয় নম্বরটি জোগাড় করে দেন—এমন তথ্য বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া গেছে।’
উক্ত ফোন নম্বর ব্যবহার করে ফয়সাল করিম মাসুদ নিজের অবস্থান ও উপস্থিতির কথা ঘনিষ্ঠ মহলে জানান দেন বলেও উল্লেখ করেন সায়ের। তিনি আরও জানান, ‘+৯১৬০০১৩৯৪০** এই নম্বরটি ব্যবহার করে গতকাল রাতে কয়েকটি নম্বরে নিজেদের একটি সেলফি পাঠান ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান। যেসব নম্বরে ছবিটি পাঠানো হয়, তার একটি ইন্টারসেপ্ট করে ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে। যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ছবিটি ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে তোলা।’
এই তথ্য প্রকাশের পর হাদি গু’\লি কাণ্ডে জড়িতদের বিদেশে পলায়ন, তাদের আশ্রয় ও সহযোগিতা প্রদান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পিএসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


