ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ও’\স’\মা’\ন হা’\দি গু’\লি’\বি’\দ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ বলে উল্লেখ করে আলোচিত মন্তব্য করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন (A M M Nasir Uddin)। এই মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। পরে সোমবার রাতে ইসির জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিইসির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিইসি তাঁর বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন, শরিফ ও’\স’\মা’\ন হা’\দির ওপর হা’\মলার মতো স’\ন্ত্রা’\সী ঘটনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। বরং নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
সকালে তরুণ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দু–একটা খু’\ন’\খা’\রা’\বি হয়। এই যে হা’\দির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। নির্বাচন এলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে এগুলো নতুন কিছু নয়।”
সিইসির এই বক্তব্যের পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। কেউ কেউ এ মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে দাবি করেন, আবার কেউ সিইসির অপসারণেরও দাবি জানান। এই প্রেক্ষাপটেই নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দিয়ে বলে, মূল বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা ও জনমনে বিভ্রান্তি দূর করতেই তারা এই ব্যাখ্যা দিয়েছে।
সিইসির গৃহীত পদক্ষেপ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ও’\স’\মা’\ন হা’\দির ওপর হা’\মলার ঘটনায় সিইসি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। এর অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন জরুরি বৈঠকে বসে।
ওই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে হা’\মলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে এবং কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গু’\লি’\বি’\দ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, সিইসি কোনোভাবেই হা’\দির ওপর হা’\মলাকে হালকাভাবে দেখেননি। বরং নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তিনি বরাবরই সচেষ্ট ছিলেন।
