শোবিজ অঙ্গনে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নির্মাতা অনন্য মামুন (Anny Mamun), নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ (Mabrur Rashid Bannah) এবং অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক (Rukaiya Jahan Chamak)—এই তিনজনকে প্রকাশ্যে হু’\মকি দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ডাল্টন সৌভাতো হীরা’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই হু’\মকি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
ওই পোস্টে হু’\মকিদাতা দাবি করেছেন, ইতোমধ্যেই অভিনেত্রী চমকের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ফাঁ’\স করে দেওয়া হয়েছে এবং নির্মাতা বান্নাহর অবস্থান লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে। এর আগে একই অ্যাকাউন্ট থেকে ওসমান শরিফ হাদি (Osman Sharif Hadi)-কেও হু’\মকি দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
অনন্য মামুনকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া পোস্টে কু’রুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা হয়। তাকে ‘পিম্প’ আখ্যা দিয়ে লেখক মন্তব্য করেন, ‘এই বাটপারের নাম উল্লেখ করতেও কাল ভুলে গেছিলাম। অনন্য মামুন—দ্য পিম্প। ও যেন সহি সালামতে ভালো থাকে। আর ওর ফিল্ম যেন কেউ প্রডিউস করার চেষ্টা না করে, করলে সেটা নিজ দায়িত্বে করবে।’
বান্নাহ ও চমককে বয়কটের ডাক
একই পোস্টে নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ ও অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে কাজ না দেওয়ার জন্য মিডিয়া সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তারা নাকি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ভা’\ঙচু’\রের ঘটনায় উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। পোস্টে লেখা হয়, ‘মাবরুর রশীদ বান্নাহ ও রুকাইয়া জাহান চমক, বঙ্গবন্ধুর ৩২ ভাঙার পর কুৎসিত উল্লাসকারী লাল বদর দুজন। এদের যদি মিডিয়ায় কেউ কাজে ডাকার চেষ্টা করেন—তাহলে সেটা নিজ দায়িত্বে ডাকবেন। এই নব্য রাজাকারদের কাজে নেওয়ার ফলে আপনাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সেটার দায়িত্ব কারো না।’
আইটি টিম দিয়ে নজরদারির দাবি
হু’\মকির মাত্রা আরও বাড়িয়ে ওই পোস্টে দাবি করা হয়, তাদের একটি আইটি টিম এই দুই তারকার ওপর নজরদারি করছে। সেখানে লেখা হয়, ‘এই দুই লাল বদরের যাবতীয় এক্সেস ট্রেস করা হবে। আমাদের আইটি টিমের মাধ্যমে সেটা আমাদের হাতে চলে আসবে। এই দুজনের প্রাপ্য তাদেরই বুঝায় দেওয়া হবে।’
পোস্টে আরও দাবি করা হয়, ইতোমধ্যে চমকের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বান্নাহ কোথায় অবস্থান করছেন তা ট্র্যাক করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের প্রকাশ্য হু’\মকি শোবিজ অঙ্গনে নতুন করে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে।


