পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় – Patuakhali Science and Technology University)–এর উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরপন্থিদের সঙ্গে নিয়ে বিজয় দিবস উদযাপনের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠান বয়কটের পাশাপাশি বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহানের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থি শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে তারা আলাদাভাবে বিজয় দিবস উদযাপন করেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে ট্রেজারার অধ্যাপক আব্দুল লতিফসহ জামায়াত-শিবিরপন্থি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। এ সময় ক্যাম্পাসের হেলথ কেয়ার সংলগ্ন এলাকায় তাদের লক্ষ্য করে বিএনপি-ছাত্রদলপন্থি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
স্লোগানে উপাচার্যসহ জামায়াত-শিবিরপন্থিদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘রা’\জা’\কা’\রের আস্তানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ এবং ‘রা’\জা’\কা’\রের আস্তানা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও।’ এসব স্লোগানের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে সকাল সাড়ে ১০টায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান এবং বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের পবিপ্রবির সভাপতি ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি বিজয় র্যালি বের করা হয়। সেই র্যালিতেও রা’\জা’\কা’\রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান শোনা যায়।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, বিজয়ের মতো একটি মহান দিবসকে একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে উদযাপন করা কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে উপাচার্যকে আগেও বহুবার সতর্ক করা হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি একটি জাতীয় কর্মসূচি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে এতে অংশ নেওয়ার জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।


