কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে গোমতী নদীর ওপর নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ সেতুর পাটাতন ভেঙে পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। মুরাদনগর–ইলিয়টগঞ্জ সড়কের এই সেতুটি এলাকার অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ায় ঘটনার পরপরই সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট ও ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলের পরিস্থিতি।
জানা যায়, গোমতী সেতুর মাঝখানের দুটি পাটাতনের জয়েন্ট ভেঙে সরে যাওয়ায় প্রায় দুই দিন ধরে এক লেনে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে বাধ্য হন সাধারণ মানুষ। এতে দীর্ঘ সময় সড়কে আটকে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত উদ্যোগ নেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। তার সঙ্গে উদ্যোগে যুক্ত হন মুরাদনগরের তরুণদের মধ্যে পরিচিত মুখ কাজী শাহ আরেফিন। খবর জানার পর কোনো ধরনের বিলম্ব না করে রাতেই সেতুর পাটাতন মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে এই মেরামত কাজে সরাসরি অংশ নেন আক্তার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, ফজলে রাব্বি, মেহেদী, রাফি, সাইদ ও আরিফ। রাত নয়টার মধ্যে মেরামত কাজ সম্পন্ন হলে পুনরায় স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যার সময়েও গোমতী সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে সময়ও দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছিলেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও কাজী শাহ আরেফিন। তাদের তাৎক্ষণিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে তখনও বড় ধরনের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন এলাকাবাসী।
এবারও সেতু মেরামতের মাধ্যমে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের ভাষায়, জনগণের বিপদের মুহূর্তে রাতদিন পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।


