ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের সংখ্যা চার লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এই নিবন্ধন কার্যক্রমে এমন অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
ইসির ওয়েবসাইট (https://portal.ocv.gov.bd/report/by-country) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধিত প্রবাসী ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৬ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৯ জন এবং নারী ভোটার ২৭ হাজার ৬৬৫ জন।
একই সময়ে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬ হাজার ৬০৮ জনের আবেদন এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আর যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদিত নিবন্ধনের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৮ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এবারই প্রথমবারের মতো আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। এই ব্যবস্থায় প্রবাসী ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে এই সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট অ্যাপে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। গত ১৯ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইসি জানিয়েছে, নিবন্ধন সম্পন্ন হলে ভোটারদের দেওয়া ঠিকানায় ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হবে। ভোটার ব্যালটে ভোট প্রদান করে নির্ধারিত ফিরতি খামের মাধ্যমে তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।
বর্তমানে যেসব দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন চলছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, হংকং, ব্রাজিল, উগান্ডা, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, বতসোয়ানা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, ঘানা, গিনি, মরক্কো, দক্ষিণ সুদান, চিলি, সিয়েরা লিওন, ইকুয়েডর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গাম্বিয়া, পেরু, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ আরও অনেক দেশ।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতীতে চালু থাকা পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি কার্যকর ছিল না। সে অভিজ্ঞতা থেকেই আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রবাসী ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। আগামীতে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিতদের নিবন্ধনের সময় এ ব্যবস্থার প্রতি তাদের আগ্রহের মাত্রা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে কমিশন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


