২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজা কালাস (Kaja Kallas)–এর অনুমোদনে নেওয়া হয়েছে বলে ইইউ’র এক্সটার্নাল অ্যাকশন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এই মিশনের নেতৃত্বে থাকবেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভার্স ইযাবস (Ivars Ijabs), যিনি চিফ অবজারভার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
চিফ অবজারভার ইযাবস বলেন, “বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি গর্বিত। এই মিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন প্রদান করবে। এটি বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনের একটি বাস্তব উদাহরণ।”
এর আগে ১১ ডিসেম্বর আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন (Nasir Uddin)। তফসিল ঘোষণার পরপরই তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজা কালাসকে একটি চিঠি লেখেন, যেখানে বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ দল পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সেই চিঠিতে সিইসি উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ডে পরিচালনার জন্য বদ্ধপরিকর। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে সহায়ক হবে এবং পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও ফলাফলের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
ইইউয়ের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের আগমনকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই মিশনের কার্যক্রম নির্বাচনী দিন ও তার আগপর্যন্ত পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করতে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


