বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পুনর্ব্যক্ত করেন যে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসনের মাধ্যমে যেসব ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল, সেগুলো প্রয়োগের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা প্রায় ৭টা ৩০ মিনিটে (ঢাকা সময়) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং তরুণ বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা হয়।
ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালনকারী সার্জিও গোর সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। এসব আলোচনার ফল হিসেবে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
মার্কিন বিশেষ দূত শহীদ শরিফ ওসমান হাদির বিশাল জানাজা নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অপসারিত স্বৈরাচারী শাসনের সমর্থকেরা নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের পলাতক নেতা সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন। তবে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় “সম্পূর্ণ প্রস্তুত”।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের হাতে আনুমানিক ৫০ দিন রয়েছে। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। এটিকে স্মরণীয় করে তুলতে চাই।
আলাপকালে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ।


