চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে এক যুবককে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দেড় ঘণ্টা ধরে নি’\র্যা’\তন ও হ’\ত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জ’বা’মা’\’য়াত-শি’\বি’\রের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়, শিবগঞ্জের উমরপুর ঘাট এলাকায়।
আ’\হ’\ত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান সিজু (২৫)। তিনি শ্যামপুর–বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সিজুকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাত-পায়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে মৃত ভেবে তাকে ফেলে চলে যায় তারা। স্থানীয়রা পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠান।
হাসপাতালে শুয়ে সিজু সাংবাদিকদের বলেন, “তারা দেড় ঘণ্টা ধরে আমাকে বেঁধে রেখে কু’\পিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর এই হা’\ম’\লা চালানো হয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় জ’বা’মা’\’য়াত-শি’\বি’\রের কর্মী আব্দুর রাজ্জাক, বিষের দোকানদা, শরৎনগরের আনোয়ার এবং চামা বাজারের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আবু সাঈদের ভাই নূরসহ কয়েকজন সরাসরি জড়িত।
অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তারা সাড়া দেননি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এই ঘটনা এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এমন বর্বো’\র হা’\ম’\লা ও নি’\র্যা’\তনের ঘটনায় দ্রুত বিচার হওয়া উচিত।


