সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত এবং একাধিকবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এবার আনুষ্ঠানিকভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য হলেন। তিনি তারেক রহমান-নেতৃত্বাধীন ‘আমজনতার দলে’ যোগ দিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় নিজেই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, “আমি যেহেতু আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি, তাই এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী না হয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
হিরো আলম আরও জানান, বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পরও আদর্শগত মিল না থাকায় তিনি সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হননি। শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর ‘আমজনতার দলে’ যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
“আজ সন্ধ্যায় আমি আনুষ্ঠানিকভাবে তারেক ভাইয়ের আমজনতার দলে যোগ দিয়েছি,” বলেন হিরো আলম। “আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এই দলের প্রার্থী হিসেবেই অংশ নেব। আজই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হবে।”
তার এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, রাজনীতির মাঠে হিরো আলমের প্রবেশ বরাবরই ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে ধরা দেয়, এবার তিনি দলীয় ব্যানারে লড়তে যাওয়ায় বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।
এর আগে হিরো আলম একাধিকবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। কখনও ঢাকা-১৭, কখনও বগুড়ায়, তিনি আলোচনায় থেকেছেন তার ভিন্নধর্মী প্রচারণা ও উদ্ভট নির্বাচনি বার্তার জন্য।
এসময়ত আমজনতা দলের প্রধান মো. তারেক রহমান বলেন, ট্রল হবে জেনেও ঝুঁকি নিয়েছি।
মো. তারেক রহমান বলেন, ‘হিরো আলম ভাইকে নিয়ে অনেক কথা হয়। তিনি ফানি ভিডিও বানান, অন্য রকম সুরে গান করেন। কিন্তু তিনি আমাদের দলের হয়ে নির্বাচন করছেন।’ তিনি হিরো আলমের হাতে দলের প্রতীক প্রজাপতি সম্বলিত স্মারক উপহার তুলে দেন।


