জাতীয় পার্টি (বিজেপি) (Jatiyo Party (BJP)) এর চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (Andaleeve Rahman Partha) দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
রোববার (২ মার্চ) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখি। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ (Awami League) কী করেছে এবং কত ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ এই অবস্থানে এসেছি।”
গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রসঙ্গ
আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, “আমাদের নিজেদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে বড় উদ্দেশ্য ভুলে গেলে চলবে না। সেনাপ্রধান আমাদের সেই বাস্তবতাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “সেনাপ্রধান যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন, তিনি একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত, এবং বর্তমানে সেই জায়গাটিতে পরিবর্তন আসছে। আমরা অনেক কষ্ট করে এই অবস্থানে এসেছি। তাই আমাদের দাবিগুলো যথার্থ হলেও, একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করা যাবে না। কারণ আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে সংগ্রাম করেছি।”
সার্বভৌমত্ব ও বিদেশি হস্তক্ষেপের শঙ্কা
পার্থ সেনাপ্রধানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমাদের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে বাইরের শক্তিগুলো নানাভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। সাধারণত, যখন একটি রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণভাবে স্থিতিশীল থাকে না, তখনই বহিরাগত ষড়যন্ত্রকারীরা তা কাজে লাগায় এবং দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। সেনাপ্রধান হয়তো সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।”
সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি
তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বর্তমান সেনাপ্রধানেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভবিষ্যতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আমরা যদি না পৌঁছাই, তবে শুধু রাজনৈতিক দলগুলোরই নয়, সেনাবাহিনীরও একটি দায়িত্ব থেকে যায়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই সেনাপ্রধান এই মন্তব্য করেছেন বলে আমি মনে করি।”
পার্থের মতে, সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা না করে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা উচিত।