দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ফেব্রুয়ারি মাসে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, যা বর্তমানে ৯.৩২ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯.৮৫ শতাংশ, যা জানুয়ারির তুলনায় বেশি। অন্যদিকে, জনগণের আয় কমে যাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রার মান আরও চাপের মধ্যে পড়েছে।
মজুরি হ্রাস ও মূল্যস্ফীতির চাপ
ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার কমে ৯.৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শহরাঞ্চলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এই হার ছিল ১০.৮৪ শতাংশ, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে কমে ৯.৮৯ শতাংশ হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৯.৮৮ শতাংশ।
খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ফেব্রুয়ারিতে ৯.৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ১০.৯৫ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার জানুয়ারির ৯.২৫ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ফেব্রুয়ারিতে ৯.২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে মজুরি হারও (সাধারণ) হ্রাস পেয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এটি কমে ৮.১২ শতাংশ হয়েছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৮.১৬ শতাংশ। তিনটি প্রধান খাত—কৃষি, শিল্প ও সেবায়—মজুরি হার কমেছে।
- কৃষি খাতে মজুরি হার পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮.৩৪ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৮.৪১ শতাংশ।
- শিল্প খাতে এটি অপরিবর্তিত থেকে ৭.৮০ শতাংশ রয়েছে।
- সেবা খাতে মজুরি হার কমে ৮.৩৭ শতাংশ হয়েছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৮.৪৪ শতাংশ।
দুর্ভোগে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ
মজুরি কমলেও মূল্যস্ফীতি উচ্চমাত্রায় থাকায় সাধারণ মানুষ এর ইতিবাচক প্রভাব উপভোগ করতে পারছে না। মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধির হার কম থাকায় জনজীবনে স্বস্তি আসছে না। অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের মতে, উচ্চবিত্তদের জন্য মূল্যস্ফীতির প্রভাব তেমন গুরুতর নয় এবং উচ্চ-মধ্যবিত্তরাও এতে মানিয়ে নিতে পারে। তবে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে মজুরি হ্রাস ও মূল্যস্ফীতির চাপের সম্মিলিত প্রভাবে দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী চরম সংকটের মুখে পড়েছে, যা অর্থনৈতিক ভারসাম্যের জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।