জুলাই আন্দোলন: সেনাবিহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক (Volker Türk) জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল যে, যদি সেনাবাহিনী দমন-পীড়নে জড়িত হয়, তবে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি বিবিসি হার্ডটক (BBC HARDtalk) অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বিবিসি হার্ডটকে ভলকার তুর্কের বক্তব্য

গত বুধবার বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস (BBC World Service) সম্প্রচারিত এ সাক্ষাৎকারে ভলকার তুর্ক বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং মানবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তখন সুইজারল্যান্ডের জেনেভা (Geneva, Switzerland) থেকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক স্টিফেন স্যাকুর (Stephen Sackur) বৈশ্বিক সংঘাতের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টানেন।

বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে জাতিসংঘের অবস্থান

উপস্থাপক যখন জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে সরে যাওয়ার পর বিভিন্ন দেশের অবস্থানে কী পরিবর্তন এসেছে, তখন জবাবে ভলকার তুর্ক বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,

“গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আন্দোলন করেছিল। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকার তখন দমন-পীড়ন চালায়। তবে আমাদের কণ্ঠ তখন সোচ্চার ছিল। আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা দমন-পীড়নে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে থাকতে পারবে না। এর ফলে পরিস্থিতিতে পরিবর্তন দেখা গেছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, পরবর্তীতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেন এবং তখন শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোনোর সুযোগ সৃষ্টি হয়।

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ রয়েছে। জাতিসংঘের এই সতর্কবার্তার পর কীভাবে পরিস্থিতি বদলেছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। তবে, সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *