২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযুক্তদের ভূমিকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও গণজাগরণ মঞ্চের সাবেক মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার (Imran H Sarker)সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আদালতের আদেশ
বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই পরোয়ানা জারি করেন। মামলাটি দায়ের করেছিলেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক (Maulana Mamunul Haque)।
অভিযুক্তদের তালিকা
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন:
- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)
- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর (Mohiuddin Khan Alamgir)
- গণজাগরণ মঞ্চের সাবেক মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার (Imran H Sarker)
- সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ (Benazir Ahmed)
- সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার
আসামিদের মধ্যে চারজন ইতোমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন, বাকিরা পলাতক।
আইনজীবীদের বক্তব্য ও পরবর্তী নির্দেশনা
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এছাড়াও প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহাদী উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।”
পূর্বের অভিযোগ ও প্রেক্ষাপট
এর আগে, ২৭ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখিত ছিলেন:
- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (Obaidul Quader)
- সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন (Rashed Khan Menon)
- সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস (Sheikh Fazle Noor Taposh)
- সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ (Hasan Mahmud)
- সাবেক এমপি হাজী সেলিম (Haji Selim)
- একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির (Shahriar Kabir)
- গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার (Imran H Sarker)
ঘটনার পটভূমি
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম (Hefazat-e-Islam) রাজধানীর মতিঝিল (Motijheel) এলাকায় শাপলা চত্বরে সমাবেশ করেছিল। অভিযোগ অনুসারে, রাত ১১টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে, যা ব্যাপক হতাহতের কারণ হয়।