বিএনপি (BNP) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাসের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক, যা নারী ও শিশুদের জন্য মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে এবং এটি বিগত “ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা।” এজন্য একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে।
মাগুরার ঘটনায় গভীর শোক ও ক্ষোভ
মাগুরা (Magura) জেলায় ধর্ষণের শিকার এক শিশুর মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে ধর্ষণের সংখ্যা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। অনেকেই ভয়ে বা সামাজিক মর্যাদার কারণে ঘটনাগুলো প্রকাশ করতে পারেন না।”
ফখরুল আরও বলেন, “নারী ও শিশুরা ক্রমাগত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, অথচ প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নেই। এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
তারেক রহমানের উদ্যোগ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) নির্যাতিত শিশুটির চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানান ফখরুল।
তিনি ২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচনের সময় সুবর্ণচরে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আওয়ামী লীগ (Awami League) সমর্থিত সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে এক গৃহবধূকে তার সন্তানদের সামনে ধর্ষণ করেছিল। এখনকার পরিস্থিতিও সেই অনৈতিক শাসনের ধারাবাহিকতা।”
সরকারের প্রতি আহ্বান
সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, “নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে যে অস্থিরতা চলছে, তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”
তিনি শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।