হায়দারবাদে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করল প্রশাসন
গাজীপুর (Gazipur) জেলার হায়দারবাদ এলাকায় ঘোড়া জবাই এবং ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অনুমতি ছাড়াই কয়েক মাস ধরে বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়া জবাই এবং মাংস বিক্রি হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রশাসনের সিদ্ধান্ত
আজ মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (Gazipur District Livestock Department)-এর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. এস এম হারুন-অর-রশিদ (Dr. S M Harun-Or-Rashid) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ‘মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মৌখিকভাবে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মীয়ভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হারাম নয়। তবে ঘোড়া আমাদের দেশে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। তাই বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়া জবাই করতে হলে সরকারের অনুমতি এবং নির্দিষ্ট কসাইখানার অনুমোদন প্রয়োজন, যা উদ্যোক্তারা নেননি।’
বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রির সূচনা
চলতি বছরের শুরুতে হায়দারবাদ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রি শুরু হয়। প্রথমদিকে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও পরে চাহিদা বাড়ায় প্রতি কেজি ৩০০ টাকা করা হয়।
বিক্রেতার মতামত
ঘোড়ার মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম (Shafiqul Islam) ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গরুতে চর্বি থাকে, কিন্তু ঘোড়ার মাংসে কোনো চর্বি নেই। খেতেও গরুর মাংসের চেয়ে সুস্বাদু। খাওয়ার পর হাত ধোয়ার জন্য সাবান লাগে না। শুরুতে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতাম, এখন ৩০০ টাকা।’ তিনি আরও জানান, ‘শুরুর দিকে অনেকে সমালোচনা করলেও এখন আর কেউ কিছু বলে না। তবে স্থানীয় মানুষের চেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে অনলাইনে বেশি বুকিং আসে।’
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ
স্থানীয় আত ত্বাকওয়া মসজিদ ও মাদ্রাসা (At Taqwa Mosque and Madrasa)-এর উপদেষ্টা আব্দুল কাদির খন্দকার (Abdul Kadir Khandaker) বলেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ নয়। হাদিস অনুযায়ী, আল্লাহ তায়ালা গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু ঘোড়ার মাংসের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আমি নিজেও এই মাংস খেয়েছি এবং স্বাদ ভালো লেগেছে।’