আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে এমন কোনো শক্তি বাংলাদেশে নাই- এমন দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ এ আরাফাত (Mohammad A. Arafat) বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এখনও শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) হাতেই রয়েছে এবং দলকে পুনর্গঠনের কোনো প্রয়োজন নেই। সাক্ষাৎকারে তিনি ড. ইউনূসের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে না বলেও জানিয়ে দেন ।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা অসম্ভব
শুক্রবার (২১ মার্চ) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে-কে দেওয়া এক অডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এমন কোনো শক্তি নেই, যারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে। এ দেশ জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ, তাই দলটিকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নই আসে না। বরং রাজাকার, পাকিস্তানি ও তাদের দোসররাই নিষিদ্ধ হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না আওয়ামী লীগ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রসঙ্গে আরাফাত বলেন, “ইউনূসের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচন করব না। তার দলবল যেভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাতে লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড তৈরি করা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “যারা বলেছিল, আমরা লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড দিই না, প্রশাসন দলীয়করণ করি, তারা এখন নিজেরাই প্রশাসন দলীয়করণ করছে। তাহলে এখন কেন তারা লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারছে না?”
নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে আরাফাতের বক্তব্য
আরাফাত বলেন, “ইউনূসের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বিএনপি (BNP)-জামায়াত (Jamaat)-পন্থীদের বসানো হয়েছে। ৩২ নম্বর অফিসে হামলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে, অথচ উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হচ্ছে।”
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে প্রশ্ন
আরাফাত বলেন, “৫ আগস্টের পর যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার জন্য তারা কি ক্ষমা চাইবে? তোফাজ্জল (Tofazzal), মাসুদ (Masud), রাজীব (Rajib)-এর হত্যাকাণ্ডের বিচার কি তারা করবে?”
তিনি বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখনও আমাদের দায় ছিল। তাই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম, জাতিসংঘকেও আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না করে উল্টো রাজনৈতিকভাবে মামলা ও চাঁদাবাজি চালানো হচ্ছে।”
রাজাকারদের বিচার না করে আওয়ামী লীগকে দমন করার চেষ্টা
আরাফাত অভিযোগ করেন, “বর্তমান সরকার রাজাকারদের ডিফেন্ডারদেরকে প্রধান প্রসিকিউটর বানিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগকে শেষ করা, বিচার করা নয়। বিচার সবসময় আওয়ামী লীগই করেছে, অন্যরা নয়।”