মামলার পটভূমি
২০২২ সালের ১ নভেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী (Jatrabari) থানাধীন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে এক আসামি সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
তার দেওয়া জবানবন্দিতে উঠে আসে জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) আমির ডা. শফিকুর রহমান (Shafiqur Rahman), তার ছেলে ডা. রাফাত সাদিক (Rafat Sadiq) এবং সিলেট জামায়াতের শুরা সদস্য আব্দুল বাসেতের ছেলে আরিফের নাম।
গ্রেফতার ও তদন্ত
ওই বছরের ৯ নভেম্বর জামায়াত আমিরের ছেলে রাফাত সাদিককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়ার পর ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার হন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তদন্ত চলাকালে সিটিটিসি দাবি করে, রাফাত সাদিক জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং তার বাবা এই বিষয়ে অবগত ছিলেন।
অভিযোগপত্র দাখিল ও আদালতের সিদ্ধান্ত
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৬ মার্চ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিটিটিসির পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাসার। আগামী ১৩ মে এটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
অভিযোগপত্রে চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে:
1. সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম
2. মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া
3. সৈয়দ রিয়াজ আহমদ
4. মামুনুর রশিদ (পলাতক)
অন্যদিকে, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান, তার ছেলে ডা. রাফাত সাদিক এবং আরিফ ফাহিম সিদ্দিকীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া
জামায়াত আমিরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক (Abdur Razzak) দাবি করেন, তাদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় স্পষ্ট হয়েছে যে, এটি চরিত্রহননের জন্য করা হয়েছিল।