বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার না করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (Dhaka Metropolitan Police – DMP)।
গত বুধবার (৯ এপ্রিল) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। আদেশটি ইতোমধ্যে সংস্থাটির সব উপকমিশনার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সংশ্লিষ্ট অপারেশন ইউনিটগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামির সংখ্যা অনেক বেশি’
ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলাগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অত্যধিক। তাই তদন্তে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানি এড়াতে, গ্রেপ্তারের আগে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।”
এ ধরনের প্রমাণের মধ্যে থাকতে হবে—ভুক্তভোগী বা বাদীর সাক্ষ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান, ঘটনাস্থলের ভিডিও বা অডিও ফুটেজ, স্থিরচিত্র, এবং কল ডিটেইল রেকর্ড (CDR)। কেবল এসব উপাদান সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া সম্ভব হবে।
অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার নয়
ডিএমপির অফিস আদেশে আরও বলা হয়, “উপযুক্ত প্রমাণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত, বৈষম্যবিরোধী মামলার এজাহারভুক্ত বা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নির্দেশনা আইন প্রয়োগে ভারসাম্য ও স্বেচ্ছাচার রোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। সামাজিকভাবে সংবেদনশীল ইস্যু হওয়ায় এমন নির্দেশ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার সংরক্ষণে একটি প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।