জুলাই সনদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বিন্যাস গড়ে তোলা—এমনটাই মনে করছেন নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam)। তিনি বলেন, শুধু একটি সরকারকে সরিয়ে অন্য সরকারকে ক্ষমতায় বসানো নয়, বরং একটি বৃহৎ রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক কাঠামোর রূপান্তরই ছিল জুলাই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায়, জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (Jatiyo Oikkomotyo Commission)-এর কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (Jatiyo Nagorik Party)-র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি মূলত রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে গঠিত আলোচনার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
নাহিদ ইসলাম জোর দিয়ে বলেন, “শুধু একটি দলকে হটিয়ে আরেকটি দলকে বসানো জুলাইয়ের অভিপ্রায় ছিল না। এটি ছিল রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করে, জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে নতুন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলার প্রয়াস।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “অভ্যুত্থানের পর যে স্বপ্ন, যে প্রত্যাশা জনগণের মনে জন্ম নিয়েছে, সেটাই এখন আমাদের প্রতিশ্রুতি। সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব।”
জুলাই আন্দোলন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার ছাড়া প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি বাস্তবিক ঐকমত্যই পারে এই রূপান্তরের পথ সুগম করতে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নানা রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে আবারও জুলাই সনদ ও তাতে ঘোষিত মূলনীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিনের বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।