জাতিসংঘ স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষাবলম্বনকারীদের সাংবাদিক না বলার আহ্বান জানিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী (Mushfiqul Fazal Ansarey)। সাংবাদিকতার পেশার মর্যাদা রক্ষায় এ মন্তব্য করেন তিনি, যেখানে সাংবাদিকতা আর ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণের মধ্যে পার্থক্য টেনে দেন সাবেক এই সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে রাষ্ট্রদূত আনসারী বলেন, “বাংলাদেশের হাজারো মানুষের প্রাণ হরণকারী, জাতিসংঘ স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত পলাতক ওই খুনির পক্ষাবলম্বনকারীরা সাংবাদিক হতে পারে না!”
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের সাংবাদিক মনে করি না। বরং তারা হচ্ছেন হাসিনার অনুচর, সুবিধাভোগী, লুটেরা ও খুনের সমর্থক।”
এক দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিক হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। বর্তমানে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও, সাংবাদিকতার নৈতিকতার প্রশ্নে তার অবস্থান এখনো স্পষ্ট ও দৃঢ়।
তিনি দেশের সব গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান, যেন “সাংবাদিকতা নামক মহান পেশাটিকে অপমান করা থেকে বিরত থাকা হয়” এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বা অভিযুক্ত খুনিদের পক্ষে অবস্থান নেন, তাদের নামের আগে ‘সাংবাদিক’ শব্দটি আর ব্যবহার না করা হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, কিছুদিন আগে সচিবালয়ে জুলাই মাসের গণহত্যা নিয়ে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টাকে বিব্রতকর প্রশ্ন করেন দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মী। পরে, তাদের একজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও অন্যজনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকেও রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের প্রেক্ষাপট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকেই সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ তার এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক ও পেশাগত সীমারেখা লঙ্ঘনের অভিযোগেও দেখছেন।