সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শিশির মনির।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের জানাজা আজ বাদ এশা (রাত ৮:৩০টায়) ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে এবং আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে বলে শিশির মনির জানিয়েছেন।
আবদুর রাজ্জাক একসময় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন এবং পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তিনি জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরে আত্মপ্রকাশ করা এবি পার্টি-র প্রধান উপদেষ্টা হন।
২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যে যান রাজ্জাক এবং ১১ বছর পর, ২০২৪ সালের শেষদিকে দেশে ফিরে আসেন। ২০২০ সালে তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে, যার চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তিনি ২০২৪ সালে এবি পার্টির উপদেষ্টার পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের শৈশব কেটেছে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। শিক্ষাজীবনে তিনি সত্তরের দশকের শেষভাগে যুক্তরাজ্যে যান এবং ১৯৮০ সালে বার অ্যাট ল ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে কিছুদিন আইন পেশায় নিয়োজিত থাকার পর ১৯৮৫ সালে দেশে ফিরে সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশা শুরু করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের আইন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শোকবার্তায় আবদুর রাজ্জাকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের আইন অঙ্গনের এক অপূরণীয় ক্ষতি।