ভারতের বিরুদ্ধে ফের গুরুতর সামরিক অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার গভীর রাতে ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারত, দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এই হামলায় অন্তত আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর (ISPR)। পাকিস্তান পাল্টা প্রতিরোধে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথাও দাবি করেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিয়ালকোট, কোটলি, বাহাওয়ালপুর ও মুজাফফরাবাদসহ ছয়টি স্থানে ভারত হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টার কিছু পরে ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নামে ভারতের বিমান অভিযান শুরু হয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করে, ভারতীয় বিমানবাহিনী তাদের নিজস্ব আকাশসীমা থেকেই হামলা চালিয়েছে এবং পাকিস্তান বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
আতাউল্লাহ তারার (Ataullah Tarar), পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী, রাত ৩টার দিকে জানান যে পাকিস্তান দুইটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে। এরপর ভোরের দিকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভি (PTV)-এর সম্প্রচারে তৃতীয় বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর আসে। পরে আরো দুটি বিমান ভূপাতিতের খবর নিশ্চিত হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আখনুর, আম্বালা, বারনালা এবং জম্মু এলাকায় এসব বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। ভূপাতিত বিমানগুলোর মধ্যে তিনটি ছিল রাফাল, একটি এসইউ-৩০ এবং একটি মিগ-২৯ মডেলের।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্স (Reuters)-কে বলেন, ‘আমরা কেবল তখনই ভারতীয় বিমানগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি করেছি, যখন তারা আমাদের ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়েছে।’
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তথ্যমন্ত্রী তারার এক টেলিভিশন বিবৃতিতে জানান, ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) সাদা পতাকা উত্তোলন করে ‘পরাজয় মেনে নিয়েছে।’ টিভি স্ক্রিনে সেই সময় সাদা পতাকার ফুটেজও সম্প্রচারিত হয়।
এদিকে পিটিভি জানিয়েছে, ভারতীয় গণমাধ্যম পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ‘মিথ্যা গল্প’ ছড়াচ্ছে। পিটিভির দাবি, ‘পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কোনো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দুই দেশের মধ্যে এ সামরিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।